চড়ুকে পিঠ (পর্ব-৪)— ত্রিপুর রাজার বিনা নিমন্ত্রণে

 দমদম বিমানবন্দর। জাতিগত ঐতিহ্য ধূলিসাৎ করে নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগে, মায় যার জোরে আমি উড়ব (না, সে আমার রাজনৈতিক আত্মীয় বা ওই গোছের কেউ নয়) তারও আগে বিমানবন্দরে অবতরণ করলাম। সাইনবোর্ডে কলকাতার এবং তদীয় সংস্কৃতির ঢাক তেরেকেটে তাক তাক দেখতে দেখতে ঢুকে পড়লাম বোর্ডিং পাশ জোগাড়ের লাইনপাশে! সর্পিল উন্নয়ন পেরিয়ে যখন কাউন্টারে আসীন বিপত্তারণের কাছে পৌঁছলাম, দেখি তিনি সংগত কারণেই ভারি ব্যস্ত। তাকে বিব্রত করার চেষ্টা যথাসম্ভব না করে মোলায়েম গলায় কথা বলার চেষ্টা করতেই বুঝলাম, আমার মাতৃভাষার ক্যার্দানি এখানে খাটবে না। রাষ্ট্রভাষায় (যদিও ব্যাপারটা অস্তিত্বহীন) আমার দখল উদ্বাস্তুর সামিল। কাজেই ইংরেজিই ভরসা। ব্যকরণ-কে নেহাত অকারণ জ্ঞানে ছেঁটে ফেলে তিনি আমায় যা বললেন, তা আমার যৎসামান্য বোধে কষ্টেসৃষ্টে কুলিয়ে গেল। আমি বুঝতে পারলাম বৈকুন্ঠধামের ১০৪ নম্বর দরজা আমার জন্যে বরাদ্দ হয়েছে। 

বোর্ডিং কার্ডের বদান্যতায় নিরাপত্তা বলয় পার করে যখন অপেক্ষার পালা এল, প্রকৃতির ডাকে অল্পেকটু সাড়া দিয়ে একটু হাঁফ ছাড়তে পারলাম। এবার অপেক্ষার পালা, কারণ এখনও আমার সময় হয়নি। আর এই কথা আমি ছাড়াও অনেকে জানে সম্ভবত। তাই চাঁদবদনি ধনিরা আমায় সোহাগ না করেই পার হয়ে যাচ্ছে (ভাগ্যিস আমায় বাছুর ভাবেনি, বৈতরণী পেরোতে নইলে আমার না গজানো ল্যাজটা নিয়ে টানাটানি পড়ত)। যারা যাচ্ছে, তাদের নানা ভাষা (বাংলা শুনতে পাইনি এখনো) নানা মত (যদ্দুর কান পেতে শোনা যায়) এবং নানা পরিধান (শৃগালের পক্ষে দ্রাক্ষাফল)। মাঝেমাঝে একইরকম পোশাক পরা বেশ কিছু মানুষী নিতান্ত অমানুষী কায়দায় ঘাড় বাঁকিয়ে চলে যাচ্ছে সারিবদ্ধভাবে। তাদের এমনই তালিম, যে প্রত্যেকের মুখের ভাব প্রতি ইঞ্চিতে মিলিয়ে নেওয়া যাবে হুবহু। এসব দেখতে দেখতে সময় কাটছে নিদারুণ বৈচিত্র‍্যে। তবে যারা চলে যেতে যেতে দেখতে পাচ্ছেন, যে তাদের চলে যাওয়ার পথে আমার দৃষ্টি বিছিয়ে দিইনি, তারা নিঃশব্দ বিছের মত বিষাক্ত করুণা দৃষ্টিতে মাখিয়ে ছুঁড়ে দিয়ে যাচ্ছেন ধারালো ছুরির মত। শিবরামের ভাষা ঈষৎ বদলে বলা যায়, দেখাও যায় না তারে, না দেখাও বেদনা রে! সেই বেদনা বুকেই এবারে উঠতে হবে কারণ— প্রথমত, গতস্য শোচনা নাস্তি আর দ্বিতীয়ত আকাশের বুকে আমার উড়ান 'বুকড' আর খানিক পরেই। 


উড়ানের ডাক পেলেও উড়বার ফাঁক পেলাম না। বোধয় আকাশের নির্বাচনী প্যানেলে তখনও কয়েকদফা ইলেকশন বাকি ছিল। তাই আরও কয়েক দফা বসে, দাঁড়িয়ে, সহযাত্রীর পা মাড়িয়ে অবশেষে দুই সুন্দরী (রূপটানের প্রলেপ আমার শীতের লেপকেও লজ্জা দেবে স্থূলতায়) দারোয়ান এসে খুলে দিলেন দরজা। অমনি হুড়মুড় করে আমরা যত খচ্চর, থুড়ি খেচর, সবাই উড়ব বলে ঝাঁপ দিতে লাগলাম প্রাণের মায়া না করেই। তবে সে সুখ সইল না বেশিক্ষণ, সিকিউরিটি লাউঞ্জের ফাটক পেরিয়ে এরপর আটক হলাম একখানা বাসে। সেই বাস আবার ব্রিগেডের মিছিলের মত, ঠাসাঠাসি ভিড় না হলে নড়বে না। সেই বাসে মোটবহর সমেত আমি মানে মোট আমাকে যে কেমন করে ধরাতে পেরেছিলাম, সে কাহিনীতে কাজ নেই। এরপর সেই বাস অস্বাভাবিক দ্রুততায় (হেঁটে গেলে আরেকটু তাড়াতাড়ি হত বলেই আমার বিশ্বাস) আমাদের পৌঁছে দিল পুষ্পক রথের পাদানি-তে। আমি বাঁয়ে শেয়াল নিয়ে নেমেছিলাম নির্ঘাত। প্লেনে চড়ে দেখি তার বাঁদিকের ডানার ওপরে একখানা জানলা বরাদ্দ হয়েছে আমার নসিবে, এরপর কে আর শান্ত হয়ে বসিবে? দুদ্দাড় করে ছুটে আমার নম্বরি সিটে পৌঁছে দেখি এক দু-নম্বরি ভারি আরামে আমার সাধের সিটটা দখল করে বসেছেন। ভারি রাগ হল, যদিও অপরাধীটি এক মহিলা, তবু কিছুতেই রাগকে অনুবর্তী করে অনুরাগে কনভার্ট করতে পারলাম না। বারবার মনে হতে লাগল গায়ে জোর থাকলে মেরে তাকে গাজর বানিয়ে দিই। মনটাকে যতসম্ভব নরম করে তাকে তার জানালা সংক্রান্ত ত্রুটি জানালা'ম। সে ললনা কিঞ্চিৎ ছলনার হাসি হেসে বিষয়টাকে বিমানের চেয়েও উঁচুতে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করলেন, এবং অনুরোধ জানালেন আমি যেন তাকেই জানালার অধিকার দিয়ে দিই তার মিষ্টি হাসির বিনিময়ে। তার অনুরোধে অবরোধ ঘোষণা করে আমি জানালাম রমণীয় কোমলাক্ষের চেয়ে গবাক্ষই আমার বেশি পছন্দের, কাজেই তিনি যতই হাম্বা ডাকুন, গোরুর গলা অবধিই তার অধিকার। জানালা যে আমি কিছুতেই ছাড়ব না, সেটা তাকে বেশ করে জানালাম। উপায়ান্তর না দেখে রোষদৃষ্টিতে আমায় আধপোড়া করে তিনি জানলা ছাড়লেন আমায়। এরপর বাকি পথ তিনি সেই সিটের শোকেই বুঝি সিঁটিয়ে রইলেন, নড়াচড়ার কোন চেষ্টাই করলেন না। 


উড়ে যাওয়ার আগেই দেখি আমার উড়বার আশায় জল ঢেলে দিতে বৃষ্টি শুরু হল। যদিও বাড়ন্ত বিমানের দুরন্ত উড়ানে সেই বৃষ্টি কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারল না কিন্তু তাও নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা পরেই (বোধহয় পাইলট পাঁজি মেলাচ্ছিলেন ওড়ার প্রশস্ত লগ্ন খুঁজে) বিমানবাবাজি তিন চাকায় দৌড়তে শুরু করলেন। এদিকে ওদিকে খানিক পায়চারি থুড়ি চাকাচারি করে যখন মূল রানওয়েতে পড়লাম, তখন হঠাৎ গতি বাড়িয়ে একটা ছোট্ট লাফে মাটির সংস্রব ত্যাগ করলাম। বৃষ্টির সঙ্গে একহাত নিতেই বোধয় খানিকক্ষণ হাতাহাতির পর (এয়ারপকেট, বাম্প কি সব যেন বলে) মেঘের ওপরে উঠে পড়া গেল। অধস্তন কর্মচারীকে হঠাৎ দন্ডমুন্ডের কর্তা বানিয়ে দিলে যেমন তার মুন্ডে দন্ডের আঘাত পড়ে সব গুলিয়ে যায়, আমারও তেমন অবস্থা হল। চিরকাল ঘাড় উঁচিয়ে যাকে দেখেছি তার এমন অধঃপতনে দাঁত খিঁচিয়ে অভিবাদন জানালাম। লাফিয়ে পড়ে তার ওপরে লাফালাফি করতেও সাধ যে হয়নি, তা নয় কিন্তু আমার তলায় যে আদপেই তল নেই বরং অতলে তলিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক ব্যাপারস্যাপার তলিয়ে ভেবে ক্ষান্ত দিলাম। জানলার বাইরের দৃশ্য বদলে যাচ্ছিল ক্ষণে-ক্ষণে। জানলা দখলের জন্যে পাতা হানি-ট্র‍্যাপে পা দিলে যে কী ভীষণ হানি হত আমার, সে কথা ভেবে বেশ উত্তেজনা হতে থাকল। আমার মত মাটির মানুষ যারা, তাদের চোখে দেখা মেঘ কেমন যেন ময়লা-ময়লা। তার উলটো পিঠটা যে এমন ধবধবে সাদা, সে কি আর জানতাম! বাইরের দৃশ্য ক্রমশ এত সুন্দর হয়ে উঠল, যে সুন্দরী বিমানসেবিকাদের ব্যবসায়িক স্বার্থজড়িত কটাক্ষপাত এবং কেয়ারি করা সৌন্দর্যে কেয়ার করতে ইচ্ছে হল না মোটেই। 

এরপর আমার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে ছুড়তে শুরু করল ঘড়ির কাঁটা, খানিক পরেই দেখি আমি নামতে শুরু করেছি আমার এই আচমকা অধঃপতনের কারণ বুঝে ওঠার আগেই দেখি আমি অনেকখানি নেমে এসেছি মাটির কাছে। এতক্ষণ অদৃশ্য হয়ে থাকা মর্তবাসীর মানুষী ও অমানুষি চিহ্নগুলো আবার দৃশ্যমান ও ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিমানের জ্বালানি বাড়ন্ত হল না আমার বাড়বাড়ন্ত দেখে সুরলোকের অধিবাসীরা আমাকে মর্ত্যে ফিরিয়ে দিলেন, সে তত্ত্ব আর আমার তল্লাশ করা হলো না। 


খানিক পরেই দেখি মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর রাজকীয় বিক্রমে বীরের বেশে হাত থুড়ি রানওয়ে বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই হাতেই নেহাত অপঘাতে আকাশচ্যুত পাকা ফলের মত ভূতল নিলাম আমি, ঝাঁকুনি সমেত। আধুনিক আগরতলা তথা সমগ্র ত্রিপুরার আজ যতখানি উন্নয়ন হয়েছে তার সবেরই না কি কান্ডারী এবং ভান্ডারী হলেন মহারাজ বীর বিক্রম মানিক্য। তার অনুপ্রেরণার মাইলফলক তাই যত্রতত্র ঝলক দিচ্ছিল। বাঁশের কারিকুরিতে সাজানো বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এবার চললাম অটোযোগে আস্তানার সন্ধানে। অস্থায়ী আস্তানায় পৌঁছানোর পর পরদিন বিকেল পর্যন্ত সময় কাটল বড্ড কেজোভাবে। কাজের কথা কাজের আর অকাজের লোক উভয়েই জানেন আর সে কথা এতই বৈচিত্র‍্যহীন যে তা লিখে কাগজ কালি নষ্ট করার কোন সার্থকতা নেই। তাই যাক সে কথা। কাজ সেরে পেটায় নমঃ বলে খাদ্যাঞ্জলি দিয়ে রওনা দিলাম নীরমহলের উদ্দেশ্যে। 


নীরমহলের কাছে পৌঁছে দেখি তার মহলটাই বেশি, নীর তেমন নেই। কবির ভাষা একটু বদলে বলা যায়, নীর কম ক্ষতি নেই, আকাশ থুড়ি মহল তো বড়! একখানা বিপুল জলাশয়ের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে (নাকি ভেসে রয়েছে?) একটা পেল্লায় প্রাসাদ, সেটারই নাম নীরমহল। মূলত বিলাস ব্যসনের জন্যই নাকি বানানো হয়েছিল এই প্রাসাদখানা। রাজকীয় আমোদের অমন আড়ম্বর দেখে আমোদ তো হলই না বরং রুই কাতলার পাশে নিজেকে নিতান্তই আমুদে কিংবা চুনো বলে মনে হতে থাকল বারবার। রাজার আমোদ ভবন তখন সরকারি প্রমোদের কাজে সংস্কৃত হচ্ছিল। সংস্কারের চাকচিক্য পানায় থাকা সরোবরের জলে প্রতিফলিত হয়ে ঈষৎ ম্লান দেখাচ্ছিল। ওই পানায় পানসি ভাসানোর প্রস্তাব দিতেই টিকিট কাউন্টারের সরকারি কর্মচারী রাজকীয় আলস্যে বললেন, যতক্ষণ না ভেলার জন্য পর্যাপ্ত বেহুলা যোগাড় হচ্ছে ততক্ষণ লক্ষিন্দরের মৃতদেহ পচে দুর্গন্ধ বেরোলেও বেহুলার ভেলার নোঙর উঠবে না। এমনকি লোক জড়ো না হওয়া পর্যন্ত টিকিটের টাকা নিতেও তিনি রাজি হলেন না কিছুতেই। এমন নির্লোভ চোর থুরি সরকারি কর্মচারী আমি বড় একটা দেখিনি এ জীবনে। 


অতএব জড়ো হওয়া আমরা কয়েকটি প্রাণী আরও জড়োসড়ো হয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম আরও জনসমাবেশের চাতক চেয়ে। কলকাতা থেকে অত দূরেও এমন একটা ব্রিগেড মার্কা মহা মিছিলের গন্ধ পেয়েও জানিনা কেন বিশেষ খুশি হতে পারলাম না। ঘন্টাখানেক পরে নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধানে জনাবিশেক নরনারী আর গুটিকয়েক চ্যাঁ ভ্যাঁ নৌকো চড়ে ভাসলাম নীর অনুজ মহলের উদ্দেশ্যে। নৌকো পরপারে পৌঁছতে সময় লাগলো সাকুল্যে মিনিট পনেরো। মাঝি ও মাল্লা হাল্লাপূর্বক জানালেন, সময় মাত্র ৪৫ মিনিট। অর্থাৎ তার মধ্যে নৌকো অবধি না ফিরলে নৌকোটি ফেরার হবে এবং আমায় সাঁতরে ফিরতে হবে। বিদ্রোহী কবি সেই কবেই লিখেছেন, "অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া জানে না সন্তরণ"। সেই আপ্তবাক্য মনে রেখে এবং সাঁতার না জেনে বিদ্রোহী হতে তাই আর সাহস হল না। মহল ঘুরে ফিরে যা বুঝলাম তা হল সংস্কারের ঠেলায় মহল বদলে মস্ত হল(ঘর)এ পরিণত। বসবাসযোগ্য কোনো ঘর দেখতে পেলাম না। স্থাপত্য হিসেবে সেটা দারুণ, তাতে সন্দেহ নেই, তবে টাটকা রঙের নিদারুণ গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার যোগাড়। সামনে অত বড় জলাশয় থাকার দরুন পচা পাঁক আর পানার একটা জলীয় ভ্যাপসা গন্ধ বিগত জন্মের অভিশাপের মতো বইছিল হওয়ার সঙ্গে। এক আধটা যামিনী কিংবা নিদেনপক্ষে সিকিখানা তেলেনাপোতা আবিষ্কারের আশা মনে সঞ্চারিত হলেও তা সফল হল না। গুটিকয় কবর দেখে, তার খবর নিতে ইচ্ছে হয়েছিল, কিন্তু কোন জীবিত গল্প-বলিয়ে জুটলো না এই পোড়া কপালে। আর আমার সহযাত্রীরাও সেই কবর দেখে অত্যন্ত কল্পনাপ্রবণ হয়ে নানাবিধ ভীতি-উদ্রেককারী কষ্ট কল্পনার উদগার করে তড়িঘড়ি অন্যদিকে সরে পড়লেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বলেই হয়তো এই সহসা দিক বদল আমায় তেমন ভাবিত করল না। 


এ যাত্রা ত্রিপুরার অন্য কোন দিকে যাওয়া হবে না এবং ব্যাগে করে একখানা ভারী ক্যামেরা বয়ে এনেছি — এই যৌথ দুঃখ লাঘব করতে অপর্যাপ্ত ছবি তুলে নৌকো ছাড়ার মিনিটখানেক আগে ফিরে এলাম নৌকার কাছে। আবার সিকি ঘন্টার জলপথ পার হচ্ছি যখন, সংস্কারের তোড়জোড় আর কাঁচা রঙের উটকো গন্ধের মাঝেই মনে হল, চকচকে করে তোলার লোভে সবকিছুতেই যদি চুনকাম হয়, সংস্কার হয়, তবে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে সবকটা অনাবিষ্কৃত তেলেনাপোতা, হারিয়ে যাবে  যামিনীরাও। স্বভাবে মলিন হয়েও যারা সুন্দর। তাই সব যামিনীর হয়তো ভোর না হওয়াই ভালো। 

Comments

Popular posts from this blog

হারিয়ে খুঁজি তোমায়; তোমার মত

বাস করিনি কোথাও